রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
মো. মনির আকন, মঠবাড়িয়া।।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে টিকিকাটা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বেড়িবাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। এতে করে দুইটি গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত হচ্ছে। গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু নিয়ে এসব এলাকার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জোয়ারের লোনা পানিতে ফসলি জমি ও জমির বীজতলা তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ফলজ ও বনজ গাছপালা।
গত ২০ মে (বুধবার) বাংলাদেশের উপকূল জুড়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পানি নেমে গেলেও মঠবাড়িয়া-গুলিশাখালী খালের দুই পাড়ের পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাসষ্টান্ট সংলগ্ন এলাকা ও টিকিকাটা গ্রামে জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হয় এসব ঘরবাড়ি।
পূর্ণিমার কারণে বর্তমানে খাল ও নদীতে পানির চাপ বেশি। যতদিন পানির চাপ বেশি থাকবে ততদিন জোয়ার ভাটা হিসেব করে বসবাস করতে হবে পানিতে প্লাবিত এলাকার মানুষদের।
এদিকে বারবার ঝড় জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসি বলছেন, অনেক দেখেছি, অনেক শুনেছি, অনেক আশ্বাস পেয়েছি। কিন্তু বাঁধ নির্মাণ হয়নি। ঝড় জলোচ্ছ্বাসে পানিতে ভেসে যাই। এ ভাবে আর কতদিন। ছেড়ে দিয়েছি বাঁধ নির্মাণের আশা। এভাবে যতদিন থাকা যায়।
পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডেও বাসিন্দা ব্যবসায়ী আব্দুল গপ্ফার বলেন, আম্পানের ফলে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পানিবন্দি হয়ে অনেক কষ্ট করে জীবন যাপন করছি। কিন্তু এ ভাবে জোয়ারের পানিতে আমাদের বাড়িঘর প্লাবিত হলে আর কয়দিন বাঁচা যাবে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী কামাল বলেন, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে এখন থেকে পানি না কমা পর্যন্ত এখানের মানুষদের জোয়ার-ভাটা হিসেব করে বসবাস করতে হবে। রান্না বান্নার কাজ রয়েছে বন্ধ। যাদের সুযোগ রয়েছে তারা নিজের বাসস্থান পরিবর্তন করেছে। পানি কমলে আবার আসবে। এ অবস্থায় দ্রুত বাঁধ মেরামত ও সংস্কার করা না হলে এই এলাকা মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে বলে দাবি করেন তিনি।
পিরোজপুর (পা উ বি) নির্বাহী প্রকৌশলী দ্বিপক রঞ্জন দাস বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে টিকিকাটা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দুই এক দিনের মধ্য সংস্কার করা হবে।